
কুষ্টিয়ায় অসামাজিক কাজের অভিযোগে তিনটি খাবারের হোটেলে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার মহিষাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইকরামুল ইসলামের ভাই ভাই হোটেল, শেকমের হোটেলসহ মোট তিনটি হোটেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া মহির আলীর চায়ের দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে। এসব হোটেলে সাধারণত মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের চালক এবং তাঁদের সহযোগীরা গাড়ি রেখে খাবার খান। অভিযোগ আছে, খাবার হোটেলের আড়ালে রাতের বেলায় সেখানে নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ করানো হয়। হোটেলমালিকেরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন।
স্থানীয় লোকজন হোটেলমালিকদের নিষেধ করলেও তাঁরা এ কাজ চালিয়ে যান। এ কারণে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা দুটি হোটেল ও একটি চায়ের দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া একটি হোটেলে ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বলেন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কোল ঘেঁষে প্রায় অর্ধশত খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে। ১১ মাইল থেকে শুরু করে বিত্তিপাড়া করিমপুর সংযুক্ত সড়ক পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হোটেলে অসামাজিক কাজ চলে। এ কারণে এলাকার উঠতি বয়সী যুবকেরা প্রতিনিয়ত বিপথগামী হচ্ছেন। এলাকার সুনাম নষ্ট হচ্ছে, বদনাম হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্মের প্রতিকার চান স্থানীয় লোকজন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
বিকেলে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী বিভিন্ন মানুষ লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করছেন। তাঁরা মহাসড়কে দৌড়াচ্ছেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হোটেলগুলো দাউ দাউ করতে জ্বলতে থাকে। তবে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাড়ি দেখা যায়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। সেসব হোটেলে ট্রাকচালক ও তাঁদের সহযোগীরা নিয়মিত খাবার খান। হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসার অভিযোগে তিন-চারটি হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
আলোকিত নিউজ লিঃ (Incorporation no: 152855/2019) | কপিরাইট © ২০২২ আলোকিত নিউজ লিমিটেড এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Design & Developed by Bongosoft Ltd.
আপনার মতামত লিখুন :