
সিরাজগঞ্জে মেরিনা আক্তার মিরা নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে নিজের আপন মেয়ের সাজানো সংসার ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন খোদ তার আপন মেয়ে অন্তরা খাতুন।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর পৌর এলাকার সয়া গোবিন্দ মহল্লায়।
ঘটনার শিকার অন্তরা খাতুন বলেন, ২০১১ সালে তার পিতা জাকারিয়া হোসেন অরুণের সাথে তার মা মেরিনা আক্তার মিরার ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর থেকে মা মেরিনা আক্তার মিরা তার মেয়ের সাথে সয়াগোবিন্দ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। সেই সুবাদে মেরিনা আক্তার মিরার সাথে এলাকার সুদখোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে।
ডিভোর্সের পর মেরিনা আক্তার মিরা নেত্রকোনা জেলার রায়হান চৌধুরীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। বিষয়টি তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই জানতে পারে।পরবর্তীতে মেরিনা আক্তারের সম্মতি ক্রমে রায়হান চৌধুরীর সাথে তার বিয়ে দিয়ে দেন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেন।
বিয়ের কিছু দিন পরে আবারও মেরিনা আক্তার তার মেয়ে অন্তরা খাতুনের নিকট টাকা দাবি করে।মেয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করলে মা ও মেয়ের মধ্যে তীব্র তিক্ততার সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ২৬ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে। মেরিনা আক্তার সুকৌশলে তার মেয়ের বাসায় ইয়াবা রেখে তার সাবেক স্বামী জাকারিয়া হোসেন অরুণ ও তার মেয়ে অন্তরা খাতুনকে স্হানীয় এক বখাটের সহযোগিতায় পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়।পরবর্তীতে তাঁরা জামিনে মুক্তি লাভ করে।
এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি মা মেরিনা আক্তার। তার মেয়ে অন্তরা খাতুনের সংসার ভাঙ্গতে একের পর এক নীল নকশা তৈরি করেন। তিনি প্রকাশ্যে না এসে তার পরিচিত এলাকার মৃত আবুলের স্ত্রী ছালমা খাতুনকে তার মেয়ের নিকট পাঠায়।ছালমা খাতুন অন্তরার নিকট যেয়ে দাবি করেন তার পরনের কাপড় অন্তরা খাতুনের মায়ের নিকট বন্ধকি রেখেছেন। হয় কাপড় ফেরত দাও নয়তো টাকা দাও। অথচ অন্তরা খাতুন এব্যাপারে কিছুই জানতেন না।তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অন্তরা খাতুন সয়াগোবিন্দ এলাকা ত্যাগ করে অনত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বিদেশ ফেরত স্বামী সহ বসবাস শুরু করেন।
সেখানে গিয়েও তার মা মেরিনা আক্তার মেয়ের নিকট টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে মা মেরিনা আক্তার সয়াগোবিন্দ এলাকার রিকশা চালক আমীর আলীর পুত্র বাবু, বুদ্ধুর ছেলে আলম, আ: কাইয়ুমের ছেলে জিহাদসহ কতিপয় বখাটে লোকজনদের অন্তরা খাতুনের নতুন ভাড়া বাসায় প্রেরণ করেন। তারা সেখানে গিয়ে অন্তরা খাতুনকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক টাকা দাবি করে বলে ভুক্তভোগী জানান।তিনি আরও জানান,এব্যাপারে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নিবেন।
অপরদিকে, অভিযুক্ত মা মেরিনা আক্তার আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :