• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যানচালক শিশু শম্পার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী


FavIcon
জামালপুর প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২০, ০৯:৫০ পিএম
ভ্যানচালক শিশু শম্পার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

জামালপুরের ভ্যানচালক শিশু শম্পার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা আসলে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াছমিন শম্পাদের বাড়িতে যান।তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে শম্পার পরিবারের থাকার জন্য একটি পাকাঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় মোনাজাত করা হয়।পরে শম্পার বাবা শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর পঙ্গুত্ব চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থায় জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শিশু শম্পার পড়ালেখা ও তার পরিবারের জন্য বাসস্থান, তার বাবার চিকিৎসা যাবতীয় ব্যবস্থা এবং পরিবারের ভরণ-পোষণ করার ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক আমরা আজ ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছি। পাশাপাশি শম্পার বাবা ভাসানীকে তার পায়ের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।প্রসঙ্গত, জামালপুরের নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শম্পা (১০) তার বাবার পায়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় দেড় বছর ধরে রিকশাভ্যান চালিয়ে টাকা রোজগার করে আসছিল। সম্প্রতি শম্পার এই বিষয়টি নিয়ে একটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দৃষ্টিতে আসে।সেখান থেকে নির্দেশনা পেয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী শম্পার বাবার চিকিৎসা, শম্পার পড়ালেখাসহ পরিবারটিকে স্বাবলম্বী করে তুলতে যা যা প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানান জামালপুরের জেলা প্রশাসক।উল্লেখ্য, নাকাটি গ্রামের শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দুই মেয়ের মধ্যে ছোট হল শম্পা। কয়েক বছর আগে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। শফিকুল আগে রিকশাভ্যান চালাতেন। পাঁচ বছর আগে জামালপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি দুর্ঘটনায় তার এক পা ভেঙে যায়। পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।চিকিৎসা করাতে তার সবকিছু বিক্রি করে প্রায় নিঃস্ব পরিবারটি। দেড় বছর ধরে ঘরে পড়ে আছেন শফিকুল। ফলে আগের মতো রিকশাভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতে পারেন না তিনি। সংসারের অন্য খরচ ছাড়াও প্রতিদিন তার ওষুধ লাগে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।এ পরিস্থিতিতে দেড় বছর আগে থেকে বাবার ওষুধের টাকা আর সংসারের খরচ মেটাতে ভ্যান চালানো শুরু করে ছোট্ট শিশু শম্পা।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শম্পার লেখাপড়া, ঘর নির্মাণ ও বাবার চিকিৎসাসহ তার পরিবারের দায়িত্ব নেয়ায় তারা অনেক খুশি হয়েছেন। একই সঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।


Side banner
Link copied!