• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিখোঁজের তিন দিন পর মাটিচাপা দেয়া ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার


FavIcon
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২১, ০১:৩৮ পিএম
নিখোঁজের তিন দিন পর মাটিচাপা দেয়া ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের তিন দিন পর মাটিচাপা দেয়া ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় এক ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ পৌরসভার বদিউজ্জামান বেপারী পাড়ার মজিবর রহমান মাস্টারের পুকুরপাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।নিহত ট্রাকচালকের নাম রনি পাঠান (২৩)। গোয়ালন্দ পৌরসভার আদর্শ গ্রামের আব্দুল মতিন পাঠানের ছেলে তিনি।স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় লোকজন মজিবর রহমান মাস্টারের পুকুরপাড়ে ছাগল আনতে গিয়ে গন্ধ পায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ খবর পেয়ে সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করে। তাকে গলা কেটে হত্যার পর লাশটি পুতে রাখা হয়েছিল।এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রনি পাঠান। তার মা মরিয়ম বেগম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রনি বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া করে। পরে পাশের এলাকার জুয়েল (২১), জীবন (২২) ও সুজন (২২) তাকে ডাকে নিয়ে যায়। এরপর রনি আর বাড়ি ফিরে আসেনি।মরিয়ম বেগম বলেন, ওর কাছে অনেক টাকা ছিল। ওরা (ওই তিন যুবক) নিয়ে গেছে। ওরাই আমার পোলাকে খুন করেছে। আমার এমন সর্বনাশ ওরা কেন করলে রে? আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই।শনিবার বিকেলে দেখা গেছে, লাশ যেখানে পুতে রাখা ছিল এর পাশে রক্তের দাগ রয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাশ উত্তোলনের পর দেখা যায়, রনির গলা কাটা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যার পর পুকুরপাড়ে কাদা মাটিতে লাশটি পুতে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।রনির বড় ভাই রানা পাঠান জানান, ঘটনার দিন রনির কাছে ১২ হাজার টাকা ছিল। ধারণা করা যাচ্ছে, নেশা করা অবস্থায় ওই টাকা কেড়ে নেয়ার ঘটনায় ঘাতক তিনজনের সাথে রনির বিরোধ হয়। আর তারা ওই টাকা কেড়ে নিয়ে রনিকে খুন করে লাশ পুতে রাখে। আমরা খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।রনির পরিবারের সদস্যরা আরো জানায়, জুয়েল, জীবন ও সুজন প্রত্যেকে নেশা করে। ঘটনাস্থলের পাশে ডেন্ডি আঠা জাতীয় নেশার পলিথিন ও কৌটা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। লাশ উদ্ধারের পর অভিযুক্ত ওই তিন যুবক পালিয়েছে।গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার সাথে জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। প্রকৃত অপরাধীকে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।


 

 

 


Side banner
Link copied!