• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বদলিতে মিষ্টি বিতরণ, শিক্ষদের মাঝে স্বস্তি


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বদলিতে মিষ্টি বিতরণ, শিক্ষদের মাঝে স্বস্তি

শরীয়তপুরে বিতর্কিত সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বদলিতে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করেছে শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা অফিস চত্বরে প্রাথমিক শিক্ষকের এক অংশ এই দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ শেষে তার বদলিতে আনন্দ মিছিল করে। প্রাথামিক স্কুলে সরকারি অনুদান থেকে সকল কাজে ৭% থেকে ১০% ঘুষ গ্রহণ এবং শিক্ষক নির্যাতন এবং দুর্নীতিবাজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শিক্ষকরা। 
দাসার্ত্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ ও অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০২০ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম হিসেবে যোগদান করেন । যোগদানের পর থেকে তিনি । প্রাথামিক স্কুলে সরকারি অনুদান থেকে সকল কাজে ৭% থেকে ১০% ঘুষ গ্রহণ এবং শিক্ষক নির্যাতনকারী,ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক এমপির দোসর ও শিক্ষকদেও মাঝে বিভাজন সৃষ্টিকারী এবং দুর্নীতিবাজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজুল ইসলামের বিতর্কিত কমকান্ড করার কারনে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তার বিরেদ্ধে বিনামুল্যে ঊন বিতরনে অনিয়ম , শিক্ষকদের  কটুক্তি বদলি বানিজ্য , সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্ধ থেকে কমিশন গ্রহনসহ অশংখ্য অভিযোগ উঠে।তার বির্তকিত কর্মকান্ডের কারনে ফুসে উঠে শরীয়তপুরের শিক্ষক সমাজ।  তার এ সকল অনিয়ম ও বির্তকিত কর্মকান্ডের বিরোদ্ধে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।  শরীয়তপুর সদর  উপজেলা  প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের বদলি হওয়ার খবরে দোয়া ও মিষ্টি বিতরন করেন। এর পর শিক্ষকরা একটি র‌্যালী বের করে স্বস্তি প্রকাশ করেন। 
 গত কয়েক মাস পূর্বে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায় বদলি করা হয়। সেখানে তিনি যোগদান না করে নানা রকম তদবিরের মাধ্যমে আবার সে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় তার বদলি নিশ্চিত করেন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার  ৮৯ নং চাদসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহিনুর আলম বলেন,
প্রাথামিক স্কুলে সরকারি অনুদান থেকে সকল কাজে ৭% থেকে ১০% ঘুষ গ্রহণ এবং শিক্ষক নির্যাতনকারী ও শিক্ষকদেও মাঝে বিভাজন সৃষ্টিকারী এবং দুর্নীতিবাজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজুল ইসলামের বদলির খবরে  আমরা খুশি হয়েছি। দুনীর্তিবাজকে বদলি করাই কোন সমাধান নয় ,তাকে শাস্তি দিতে হবে। 
সদর উপজেলার হোগলা মাকশাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হায়দার হোসেন বলেন ,  গতমাসে মিটিংয়ে সবার মোবাইল জমা নিয়ে ৭% থেকে ১০% ঘুষ দাবী করেন । উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদাজুল ইসলাম। যারা দাবী কৃত ঘুষ দেয়। তারা ভালো শিক্ষক। আর যারা তার দাবী কৃত টাকা না দেয় তারাই খারাপ শিক্ষক । তাদের  বিরোদ্ধে সে নানা রকম এ্যকশন নেন। 
 এ বিষয়ে সদর  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে চান নি। 
 শরীয়তপুর জেলা সহকারী  প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন , আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সমঝোতা করার জন্য আমি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসছি। সবাইকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করবো। অভিযোগের বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।


Side banner

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!