• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

খাল ইজারা নিয়ে দাকোপে দিনভর সংঘর্ষ-উত্তেজনা, সেনা মোতায়েন


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ১১:৫১ এএম
খাল ইজারা নিয়ে দাকোপে দিনভর সংঘর্ষ-উত্তেজনা, সেনা মোতায়েন

খুলনার দাকোপে সকালে খাস খালের ইজারাকে কেন্দ্র করে আর বিকেলে ছাত্রদলের নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় সোমবার (১২ মে) দিনভর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ রয়েছেন। এর মধ্যে এএসআই আজাহার উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর।তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পর দাকোপে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার সকালে দাকোপের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে বাজুয়ার ডাকাতিয়া খাস খালটির ইজারার জন্য ডাক হয়।ওই খাল ডাককে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। চালনা পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজাফফার হোসেন ও জেলা বিএনপির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলুর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিষয়টি সেখানে ওই সময় থেমে গেলেও উত্তেজনা ছিল উভয় পক্ষের মধ্যে।এ ব্যাপারে দাকোপের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের জাহাঙ্গীর  বলেন, ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে ঘিরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেজন্য আপাতত ইজারাটি স্থগিত রাখা হয়েছে।উভয় পক্ষ মিলে মিশে না আসা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। 

এদিকে, সোমবার দিনভর দাকোপের পাঁচটি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠনকল্পে বাজুয়া সরকারি এস এন কলেজে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে উপজেলার ডাকবাংলো মোড়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আবারো সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ যায়।
খুলনার দাকোপে সকালে খাস খালের ইজারাকে কেন্দ্র করে আর বিকেলে ছাত্রদলের নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় সোমবার (১২ মে) দিনভর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ রয়েছেন। এর মধ্যে এএসআই আজাহার উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর।তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পর দাকোপে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার সকালে দাকোপের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে বাজুয়ার ডাকাতিয়া খাস খালটির ইজারার জন্য ডাক হয়।ওই খাল ডাককে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। চালনা পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজাফফার হোসেন ও জেলা বিএনপির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলুর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিষয়টি সেখানে ওই সময় থেমে গেলেও উত্তেজনা ছিল উভয় পক্ষের মধ্যে।

এ ব্যাপারে দাকোপের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের জাহাঙ্গীর  বলেন, ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে ঘিরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেজন্য আপাতত ইজারাটি স্থগিত রাখা হয়েছে।

 

উভয় পক্ষ মিলে মিশে না আসা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। 

 

এদিকে, সোমবার দিনভর দাকোপের পাঁচটি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠনকল্পে বাজুয়া সরকারি এস এন কলেজে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে উপজেলার ডাকবাংলো মোড়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আবারো সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ যায়।

এসময় দাকোপ থানার এএসআই আজাহার উদ্দিনের মাথায় ইটের আঘাত লাগলে তাকে তাৎক্ষণিক খুমেক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

 

সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় সাইদ শেখ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম এটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি রাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত রয়েছে।

চালনা পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজাফফর হোসেন বলেন, সকালে খাল ইজারার ঘটনায় যেটি ঘটেছিল সেটি থেমে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেলে ছাত্রদলের
নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় হেরে যাওয়া গ্রুপ। সেখান থেকেই বিকেলের সংঘর্ষ হয়। দিনভর এমন সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ১০/১২ জন
আহত হন।


Side banner
Link copied!