নরসিংদীর মনোহরদী হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ছাফি উদ্দিন একই গ্রামের বাসিন্দা কাজী শরীফুল ইসলাম শাকিলের সাথে ছিলো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ। সেই বিরোধের জের ধরে প্রথমে হুমকী পরে ফেসবুকে অপপ্রচার এবং সর্বশেষ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে জাতির এই শেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। স্থানীয় প্রভাবশালী সকল শেনীপেশার মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ট। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক লাইভে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় বিএনপি, স্থানীয় সাংবাদিকমহল ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর ভাষায় হুমকী দেয় শাকিল। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান এই শাকিল ভূয়া সাংবাদিক পরিচয়ে মন্ত্রীপুত্র সাদীর ছত্রছায়ায় মনোহরদী ও বেলাবোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো এবং চাহিদামতো সুবিধা আদায় করতো। ০৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতৃবৃন্দের হাত ধরে একই কায়দায় অপকর্র্ম চারিয়ে যাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এসব করতে না পেরে সে প্রশাসনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের পথ বেছে নিয়েছে। নিজের ফেসবুক লাইভে প্রয়াত সাবেক শিল্পমন্ত্রীর প্রশংসা করে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের ল্যাংটা করে ফেলার হুমকী দেয় শাকিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরদীর একজন সিনিয়র সাংবাদিক জানান এই শাকিলের কর্মকান্ডে আমরা লজ্জিত ও বিব্রত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এবিষয়ে প্রশাসন সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। শাকিল কোনো সাংবাদিক নয় এবং কোনো সাংবাদিক শাকিলের পক্ষ নেয়না তবুও কেন শাকিল জবাবদিহিতার আওতায় আসছে না? এর মূল কারন নেপথ্যে কিছু ব্যক্তি শাকিলকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে।এখনই যদি এই ভূয়া ও প্রতারক সাংবাদিক শাকিলের উপযুক্ত বিচার করা না হয় তবে ভবিষ্যতে মনোহরদীতে অপসাংবাদিকতা ছাড়া আর কিছুই হবে না।
মনোহরদীতে বিগত সময়ে তার কথামতো অন্যায় আবদার ও সুবিধা আদায় করতে না পারলেই তার বিরুদ্ধে শাকিল ফেসবুবে অপপ্রচার ও পরে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভাগীয় কমিশনার বরারবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তার ফেসবুকে প্রকাশ কর তো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অতীতের ন্যায় প্রথমে মনোহরদী উপজেরা ইউএনও হাছিবা খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে ও অভিযোগ দায়ের করে বদরী করায় বলে নিজেই উল্লাস করে। বর্তমান ইউএনওকে কাজী মোহাইমিন আদিবকে জয়বাংলা করেছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটান দিয়ে উল্লাস করে। মনোহরদীর স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় এই কাজী শরীফুল শাকিল মূলত পতিত সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরূল মজিদ হুমায়ুন ও তার ছেলে সাদীর প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো।সরকার পতনের পর শাকিল ভোল পাল্টে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করার চেষ্টা করে। আশানুরুপ সাড়া না পেয়ে শাকিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে সর্বমহলে খবরদারী করা শুরু করে। মনোহরদীর ইউএনও, ওসি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাদের উপর অন্যায় আবদার ও চাঁদা দাবি করে আসছে। নিজের ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনকে আক্রমন করে স্ট্যাটাস দিয়ে অর্থ আদায় করে। তার সাথে কারো মিলনা হলেই ফেসবুকে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করা হলো শাকিল এর প্রধান অপকৌশল। মনোহরদীর চন্দনপুর গ্রামের এক অসহায় মহিলার জমির সমস্যা সমাধানের প্রলোভন দেখিয়ে এই শাকিল টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন জনৈক এক বৃদ্দা ।শাকিল নিজেকে কখনো সাংবাদিক কখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন নাম সর্বস্ব সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয় ।
সম্প্রতি মনোহরদীতে দালাল-প্রতারক ও আওয়ামী লীগের দোসর কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিলকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসন্তোষ রূপ নেয় গণপ্রতিরোধে, যেখানে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রতিহত করা হয় এই ইয়াবা ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ছদ্মবেশী সাংবাদিক পরিচয়ধারী এই শরিফুল ইসলাম শাকিলকে। গত ১১ জুন দুপুরে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এঘটনার পর এলাকা ছাড়া শাকিল আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার হুমকী দিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করছে। এমনিভাবে সকল ক্ষেত্রে শাকিল আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকেঁ মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের হুমকী ও ফেসবুকে নামে বেনামে আইডি খুলে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিকভাবে অপদস্ত করে থাকে।
নিজের সুবিদা আদায়ের জন্য প্রকৃতপক্ষে মনোহরদীকে দেশবাসীর কাছে একটি খারপ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করছে এই শকিল। মনোহরদীবাসী অবিলম্বে এই প্রতারক শাকিলের গ্রেফতার দাবি করে।
আপনার মতামত লিখুন :