• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা শতাভাগ নির্মূল করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম
২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা শতাভাগ নির্মূল করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ছবি - সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে, আগামীতে কোনো ধরণের মহামারি এলে তা কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যক্ষ্মার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশে আগের চেয়ে এখন প্রায় ৫০ ভাগ যক্ষ্মা রোগী কমে গেছে। যক্ষ্মার ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য আছে, আমরাও ২০৩০ সালের মধেই যক্ষ্মা শতাভাগ নির্মূল করব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চান্দর গ্রামের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমাদের দেশে যক্ষ্মা, চক্ষু ও কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি উদ্যোগ, সেটি জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে। যেটার নাম শেখ হাসিনা ইনিসেয়েটিভ। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে এবং তাকে আহ্বান করা হয়েছে, গ্লোবাল হেলথস ফোরামের কোচ চেয়ারম্যান হিসেবে। এখন তিনি এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে দেখবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিউবাতেও আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে ৭৭টি দেশের সঙ্গে সভা হয়েছে। সেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করা যায়। জাতিসংঘের এই সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে পেরেছে।
ডেঙ্গুর টিকা বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে। আর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি আছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় ৯ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এর মধ্যে ইতোমধে ৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি ৪ লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিনি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি এবং হাসপাতালগুলোয় দিয়ে দিচ্ছি। এ ছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেকগুণ বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিমাসে ডেঙ্গু জন্য প্রয়োজন হলো ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে স্য্লাাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। সে কারণে আমি মনে করি, এখন আর সেভাবে ঘাটতি নেই। আমরা চাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাক। জনসাধারণকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীকে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায় এবং অনেক সময় রোগী মারাও যান। সেই জন্য তড়াতাড়ি ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। তবে আমরা আশা করছি ধীরে ধীরে  আমাদের দেশে ডেঙ্গু কমে যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে গবেষণা কিন্তু বিশ্বব্যাপী চলছে। ইতোমধ্যে দুটি টিকাও আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু সেই টিকাগুলো ব্যবহার হয় না, টিকাগুলোতেও আবার কিছু সমস্যা আছে। চার ধরনের ডেঙ্গু আছে, ভাইরাস আছে। টিকা নিলে দেখা যায় কিছু ভাইরাস দমনে হচ্ছে, কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছে তাদের অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। যে কারণে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার হচ্ছে না।
তিনি বলেন, দেশের এসেই শুনতে পারলাম আইসিডিডিআরবি একটি পরীক্ষামূলকভাবে একটি টিকা তৈরি করেছে। সেটা এখনও পরীক্ষাধীন রয়েছে। তারা বলছে, তাদের এই টিকাটি বেশ কর্যকর। আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নেব এবং আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। যখন পরীক্ষাগুলো শেষ হবে যাবে তখন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আমাদের দেশেও ব্যবহার করত পারব। কিন্তু এ মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গু কার্যকর টিকা তৈরি হয়নি।


Side banner
Link copied!