
মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিশরের প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হলেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরাইলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন। প্রাণহানি আর অনিশ্চয়তার মাঝে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস এবং ফিলিস্তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল-শেখের সাথে পৃথক পৃথক ফোনালাপের সময় আবদেলাত্তি এই আহ্বান জানান।
চলতি সপ্তাহে মিশরের কায়রোয় আলোচনার পর হামাস ও ইসরাইলকে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিশর। প্রস্তাবিত ৬০ দিনের গাজার যুদ্ধবিরতিতে এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এক বিবৃতেতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি জানায়, তারা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী রোববার কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার প্রস্তাব পেয়েছে বলে জানায়।
এদিকে গাজায় চলমান গণহত্যা ঠেকাতে যুক্তরাজ্য সরকারকে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির সাত শতাধিক ব্যবসায়ী নেতা। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি অস্ত্র রফতানি বন্ধ ও মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন তারা।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গাজার খান ইউনিসে হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। হামলা চলে দেইর-আল-বালাহতেও। ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে দখলদারদের আগ্রাসনে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি।
এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২২ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ হাজারের ঘরে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮৮৫ জনই শিশু বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
আপনার মতামত লিখুন :