
রাজধানীর উত্তরায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বিরোধপূর্ণ পৈতৃক বাড়ির ভোগদখলে ‘স্থিতাবস্থা’ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার (৫ মে) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তুরিন আফরোজের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
৫ তলার ওই বাড়িতে তুরিন আফরোজ (অন্য মামলায় গ্রেপ্তার, বর্তমানে কারাগারে) বসবাস করে আসছেন। সর্বোচ্চ আদালতে স্থিতাবস্থা বাতিলের রায় বহাল থাকায় এখন ওই বাড়িতে তার সৎ মা শামসুন্নাহার তসলিম ও ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদের বসবাসে আইনগত কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।আদালতে তুরিন আফরোজের মা ও ভাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম সাজ্জাদ হায়দার। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জোবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তুরিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার হামিদ।মামলার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরার রেসিডেনন্সিয়াল মডেল টাউনের ১১ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর প্লটের ৫ তলা বাড়িতে ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন শামসুন্নাহার তসলিম এবং তার ছেলে শাহনেওয়াজ আহমেদ। তাদের দাবি, ২০১৭ সালে তাদের এ বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। পরে ওই বাড়ির ভোগ দখল ও মালিকানা দাবি করে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। পরে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর তুরিন আফরোজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরার সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা দেন ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত।এ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আবেদন করেন শাহনেওয়াজ। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন জেলা জজ আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে দেওয়ানী রিভিশন দায়ের করেন শাহনেওয়াজ। শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে, জানতে চাওয়া হয় রুলে।চূড়ান্ত শুনানির পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে অর্থাৎ স্থিতাবস্থা বাতিল করে রায় দেন উচ্চ আদালত।
সেদিন শাহনেওয়াজের আইনজীবী আতিকুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় ৫ তলা বাড়ির ভোগদখলে বিচারিক আদালত যে স্থিতাবস্থা দিয়েছিলেন, সেই স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে তুরিন আফরোজের মা-ভাইয়ের বসবাসে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :