• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ আত্মসাৎ এর জেরে ঈশ্বরগঞ্জে ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত


FavIcon
দিলিপ কুমার দাস (ময়মনসিংহ):
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৩, ১১:২৫ পিএম
অর্থ আত্মসাৎ এর জেরে ঈশ্বরগঞ্জে ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে নিয়োগ না দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

এনিয়ে নিয়োগ প্রার্থী তার লোকজন নিয়ে কার্যালয়ে ঢুকে হামলা ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওই মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

 

অভিযোগে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে রুহুল আমিন মোস্তাকিম ও এমএলএস পদে জহিরুল ইসলামকে অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। জহিরুল ইসলামকে এমপিও ভূক্ত করার জন্য অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ ৩লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন এবং খন্ডকালীন শিক্ষক রুহুল আমিন মোস্তাকিমকে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেয়ার শর্তে ১০লাখ টাকার রফা করে মোস্তাকিম অধ্যক্ষের কাছে টাকা জমা করেন। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হওয়ার কারণে অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ ৩লাখ টাকা ফেরত দেন।

 

মোস্তাকিমের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়টি জানা জানি হলে জহিরুল ইসলাম তার কাছ থেকে এমপিও করে দেয়ার নামে নেওয়া ৩লাখ ৭০হাজার টাকা স্থানীয় লোকজনসহ অফিসে গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে থেকে টাকা ফেরত চায়। এসময় অধ্যক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে লাঞ্ছিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

 

অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহর সাথে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জহিরুলের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। তার নিয়োগ হয়েছে আমার নিয়োগের আগে। তবে রুহুল আমিন মোস্তাকিমের ৩লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের অফিসে এসে জহিরুলসহ ১০-১৫জন আমাকে মারধর করে এবং আমার একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল নিয়ে যায়। পরে জহিরুল তার লোকজন নিয়ে আমার বাসায় গিয়ে চলমান বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ করতে বলে এবং তাকে টাকা না দিয়ে বিল্ডিংয়ের কাজ করলে আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকী দিয়ে যায়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

 

এবিষয়ে জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অফিসে তাকে মারধর করা হয়নি। আমি অধ্যক্ষকে ৩লাখ ৭০হাজার টাকা দিয়েছি এটা সত্য। অধ্যক্ষের বাসায় গিয়ে হুমকী দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।

 

এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জেলায় একটি মিটিংয়ে আছেন। থানায় ডিউটি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দু’পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে।

 

মাদ্রাসার অফিসে ডুকে মারধর করে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক। মোটর সাইকেল উদ্ধার করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে বলা হয়েছে।


Side banner
Link copied!