• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী মোস্তফা কামালের দুর্নীতি


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম
পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী মোস্তফা কামালের দুর্নীতি
ছবি - সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ৭টি সিন্ডিকেটের প্রায় আড়াইশ দালাল চক্রের সদস্যরা নিয়ন্ত্রন করছে এ কার্যালয়টি।দালাল ছাড়া মেলে না পাসপোর্ট।দালাল চক্রের সদস্যদের নিয়ন্ত্রন করে আসছেন অফিস সহকারী মোঃ মোস্তফা কামাল খান। এমনটিই অভিযোগ করলেন সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা। 

এই অফিসে দালালের আনাগোনা বেড়ে চলছে। ঘুষের টাকা পরিমাণ বেড়েই চলছে। এই নিয়ে কিছু ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত হয়রানি শিকার হচ্ছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারন মানুষ পাসপোর্ট করতে আসে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে। সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ এসে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করলে তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী করে বাধ্য করা হয় দালালদের সরনাপর্ন হতে। আর পাশেই কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিনের দোকানের আড়ালে দালালদের অলিখিত কার্যালয় গড়ে উঠেছে। দালালদের মাধ্যমে গেলে কোন যাচাই-বাছাই লাগে না। যদিও খরচ একটু বেশী লাগে।

সাধারন মেয়াদে ব্যাংকে জমা দিতে হয় ৩৪শত ৫০ টাকা, জরুরী পাসপোর্টের জন্য জমা দিতে হয় ৬ হাজার ৯শত টাকা। সেখানে দালালদেরকে দিতে হয় সাধারন বইয়ের জন্য ৭/৮ হাজার ও জরুরীর জন্য ১০/১২ হাজার টাকা দিতে হয়। এ টাকা থেকে ব্যাংকে জমা দেয়ার পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা প্রতিটি বইয়ে পায় ১হাজার, পুলিশ (এসবি) প্রায় ১হাজার টাকা দিতে হয়। এরপর ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশকে মাসোয়ার দেয় ওই দালাল চক্রের সদস্যরা। সকল খরচ দেয়ার পর যে টাকা থাকে তা চলে যায় দালালদের পকেটে। ৭টি সিন্ডিকেটের মধ্যে আগারগাওয়ের ১টি, রায়েরবাগের ১টি, আড়াইহাজারের ১টি, বন্দরের ২টি ও জালকুড়ির ২টি। ওই সিনডকেটের দালালরা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আলমগীরের শেল্টারে পুরো পাসপোর্ট অফিস নিয়ন্ত্রন করছে।

আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য: একাধিক গণমাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক লড়েন কর্তৃপক্ষ এবং দালালের বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সাধারণ গ্রাহক পাসপোর্ট এর সেবা নিতে আসলে পড়তে হয় দালালের খপ্পরে। নিচতলা থেকে উপর তলা ঘুষের বাণিজ্য চলছে। এই পাসপোর্ট অফিস হয়রানি শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভোগান্তি হয়রানি শেষ নেই । দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য শেষ নেই। টাকা আর টাকা কালো টাকা। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ঢুকলেই দেখা যায় দালালের আনাগোনা পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন অফিস সহকারী মোস্তফা কামাল খান। কালো টাকা নিয়ে ভাগ- বাটোয়ারা করে দেয় অফিসের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ সকলকে। সরকারি কাজ ফাঁকি দিয়ে দালালকে নিয়ন্ত্রণ করাই তার কাজ। এভাবেই দিনের পর দিন কালো টাকার মালিক হয়ে গেছেন মোস্তফা কামাল খান তার নিজ বাড়ি চাঁদপুর জেলায় অনুসন্ধানে দেখা যায়, অল্প দিনের ভিতরে নামে-বেনাম জমি জমা ও বহুতলা ভবন তৈরি করে যাচ্ছেন এই ঘুষখো অফিস সহকারী মোস্তফা খান। কামাল সরকারি বেতন যা পায়। তার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি পায় দালালদের নিয়ন্ত্রণ করে । তাই তিনি অফিসের কাজে মনোযোগ না দিয়ে দালালদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।

ভুক্তভোগীদের দাবী এই অফিসের সহকারী মোস্তফা কামাল এর কোটি টাকার সম্পদের অনুসান্ধান ও তার দুর্নীতি রোধে দুদকের সু-হস্তক্ষেপ অতি জরুরি।


Side banner
Link copied!