• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সড়কে হতাহত বাড়ছেই : যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি


FavIcon

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২০, ০২:২৪ পিএম
সড়কে হতাহত বাড়ছেই : যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি

প্রতিদিন সড়কে কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছেই  প্রতিদিনই প্রাণ ঝরছে মানুষের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সড়ক পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ফেব্রুয়ারির তথ্য দিতে না পারলেও যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যা হোক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সেটা সম্পূর্ণ বানোয়াট নয়, এ কথা প্রায় সবাই স্বীকার করে; তাদের পরিসংখ্যানের ভিত্তি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ। সড়কে প্রচুর প্রাণ ঝরছে এটাই সত্য এবং কয়েক বছর আগে কিছুটা কমার পর দুর্ঘটনার হার আবার বেড়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ দিনে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১৬৯ জন আহত হয়েছে। আগের মাসের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের হার বেড়েছে ২.৪৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থী—২৬০ জন, তারপর পথচারী—২১২ জন। চালক-শ্রমিকও হতাহত হয়েছে। সংঘটিত দুর্ঘটনায় জড়িত বাহনের ২৭.৯৩ শতাংশ ছিল ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ২০.৯৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৫.৭৫ শতাংশ বাস, ১২.৩৩ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ১০.৫৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৮.১৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ৪.৩০ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল প্রায় ৪৯টি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। গাড়িচাপার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি—৫৭.৫৩ শতাংশ। ৪৫.০৪ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৬.১৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.০২ শতাংশ ফিডার রোডে। অনুপযুক্ত গাড়ি, চালকের বৈধ লাইসেন্স না থাকা, অতি গতির ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সড়কে দুর্ঘটনার কারণ ফিটনেসহীন গাড়ি, সড়ক বিভাজক যথাযথভাবে না থাকা, বেপরোয়া গতি, রাস্তায় চালকদের প্রতিযোগিতা, ট্রাফিক আইন না মানা, চালকের দক্ষতার অভাব, অতিরিক্ত ওজন প্রভৃতি। এসব দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে দুর্ঘটনা ৩৭ শতাংশ কমেছিল। চালকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে গাড়িচালনার কর্মসূচি ঠিকমতো চলছিল বলেই দুর্ঘটনা কমেছিল। কিন্তু এখন সড়ক দুর্ঘটনা আবার বেড়ে গেছে।
সড়ক নিরাপত্তা জননিরাপত্তারই অংশ। এ বিবেচনা থেকে সড়ক নিরাপদ করতে হবে। সড়ক আইন দ্রুত ও যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেখভালের দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করতে হবে। না হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব হবে না ।

 


Side banner
Link copied!