
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১ জুলাই।
রবিবার (১৮ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়।পরে বিভিন্ন সময়ে এতে সংশোধন আনা হয়।
তবে পদমর্যাদাক্রম তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে ১৯৮৬ সালের পদমর্যাদাক্রম (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। রায়ে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের ওপরের দিকে রাখা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।আর প্রধান বিচারপতির পদক্রম জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান করা হয়।
২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে (রিভিউ) আবেদন করেন।
পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হন। এই রিভিউ আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।রবিবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি হলো। আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, আইনজীবী নিহাদ কবির ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও এম. আবদুল কাইয়ূম।
আপনার মতামত লিখুন :