• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট পালিত


FavIcon
দিলিপ কুমার দাস (ময়মনসিংহ):
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩, ১১:২০ পিএম
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট পালিত
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও জীবন নামের এক মাছ বিক্রেতাকে মারধর করার প্রতিবাদে মাছ বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট করেছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। 

 

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে পৌর শহরের 

মহালে মাছ ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা এ সময় ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাছ বিক্রি করবে না বলে ঘোষণা দেয়। 

 

 

খবর পেয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এর সুষ্ঠু সমাধান করবেন এবং তিনি ব্যবসায়ীদের ফের মাছবাজারে ব্যবসা শুরু করার নির্দেশনা দেন। পরে মৎস্য কর্মকর্তার আশ্বাসে তারা আবার বাজারে মাছ বিক্রি করবেন বলে জানান। তবে তাদের দাবি আদায় না হলে ফের ধর্মঘটের ডাক দিবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার চরহোসেনপুর গ্রামের মাছ ব্যাবসায়ী জীবন জানান, মঙ্গলবার বাজারে মাছ বিক্রি করার শেষের দিকে প্রায় ৩/৪ কেজি শিং মাছ বিক্রি করতে না পারায় আটকে যায়। পরে রাতে মেইন রোডে নিয়ে যান মাছগুলো বিক্রি করার জন্য। যাওয়ার পর থ বাজারের খাজনা আদায়কারী খোকন মিয়া তার কাছে ৩শ টাকা খাজনা দাবি করে বলে এখানে মাছ বিক্রি করতে হলে ৩শ টাকা খাজনা দিতে হবে না হয় মাছ বিক্রি করা যাবে না। পরে ৩শ টাকা খাজনা দিতে অস্বীকৃত জানালে খোকন তার দাঁড়িপাল্লা নিয়ে যেতে চায়। এসময় দাঁড়িপাল্লা নিতে বাধা দিলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে মারধর করে। 

এ ব্যাপারে থ বাজারের খাজনা আদায়কারী খোকন মিয়া ৩শ টাকা খাজনা চাওয়া ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মেইন রোডে মাছ বিক্রি করা মেয়র সাহেবের নিষেধ থাকা সত্বেও সে মাছ বিক্রি করছিল। তাকে মাছ বিক্রি করতে বাঁধা দিলে সে অমান্য করে। পরে তার দাঁড়িপাল্লা নিয়ে যেতে চাইলে একটু টানা হেঁচড়ায় দুজনই একটু আঘাত পাই। 

 

 

অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য মাছ বাজারের ভিটার আব্দুর রাজ্জাকের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। 

এবিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেল বলেন, পৌর বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করায় মাছ ব্যাবসায়ীদের ধর্মঘটের বিষয়টি জানার পর বাজারে গিয়ে ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। তাদের যৌক্তিক দাবীর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন।

 

 

এব্যাপারে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার বলেন, মেইন রোডে মাছ বিক্রি করা নিষেধ রয়েছে। আর জীবন নামের মাছ বিক্রেতাকে মারধরের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ হাফিজা জেসমিন বলেন, বিষয়টি শোনার পর সাথে সাথেই সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি সঠিক সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। মেয়র মহোদয়, ইজারাদার ও ব্যাবসায়ীদের নিয়ে বসে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Side banner
Link copied!