• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

শরীয়তপুরে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বর্নালংকার লুটপাট


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ:
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
শরীয়তপুরে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বর্নালংকার লুটপাট

শরীয়তপুর পৌর শহরের এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দৃবৃর্ত্তারা। তার ভাড়া করা ফ্লাটের এক কক্ষে খাটের উপর শোয়া অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পালং মডেল থানা পুলিশ তার রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সি আই ডির ক্রাইম বিষেশজ্ঞ দল আসলে তার লাশ উদ্ধার করে হবে। 

 

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার রুপনগর এলাকার মালেক মাদবরের চার তলা বাড়ীর ২য় তলার পুর্ব পাশের একটি কক্ষের খাটের উপরে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহতের ভাই আসলাম কাজী ও পালং মডেল থানা সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের রুপনগর এলাকার মালেক মাদবরের বাড়ীর ২য় তলায় ভাড়া থাকতেন এক সন্তানের মা ডিভোর্সী নারী নাজমা বেগম(৪২)। প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালে তার ছেলে নিরব কাজী (১২) কে পালং তুলাসার গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠায়। নিরব দুপুরে স্কুল থেকে এসে দেখে রুমের দরজা খোলা। তখন সে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে দেখে তার মা খাটের উপর উপুর হয়ে পড়ে আছে। গলায় গামছা পেচানো, স্টিলের আলমারি খোলা। তার মাকে ডকাডাকি করে কোন রকম সাড়া শব্দ না পেয়ে আতœচিৎকার করলে বাড়ীর মালিকের স্ত্রী নাজমুন নাহার দৌড়ে আসেন। তিনি এসে দেখেন নাজমার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। তখন তিনি পালং মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে রুমে তালাবদ্ধ করে দেয়। তারা মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটনের জন্য সি আই ডি দলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ।   

নিহতের ছেলে পালং তুলাসার গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র নিরব কাজী বলেন, আমি স্কুল থেকে এসে দেখি রুমের দরজা খোলা। ভিতরে প্রবেশ করে মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ীওয়ালা আন্টি আসে। 

বাড়ী ওয়ালার স্ত্রী নাজমুন নাহার বলেন, নাজমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি তাদের রুমে যাই। গিয়ে দেখি নামজার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। তার গলায় গামছা পেচানো, তার কানের দুল ও গলার চেইন এবং হাতের আংটি নেই। তাদের আলমারি খোলা। কে বা কারা যেন হত্যা করে এ সকল জিনিস নিয়ে পালিয়ে গেছে। 

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন , শরীয়তপুর পৌরশহরের রুপনগর এলাকায় নাজমা নামের নারীকে দুবৃর্ত্তরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।


Side banner
Link copied!