• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির আগে ইরান-ইসরায়েলের ভয়াবহ সংঘাত, বহু হতাহত


FavIcon
আন্তর্জাতিক ডেক্স :
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
যুদ্ধবিরতির আগে ইরান-ইসরায়েলের ভয়াবহ সংঘাত, বহু হতাহত

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ভয়াবহ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ব্যাপক হতাহত হয়েছে। 


মঙ্গলবার (২৪ জুন) আল জাজিরা ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চলে চারবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।


ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানান, যেসব এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে কালো ধোঁয়া দেখা গেছে। একাধিক ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। অনেককে ভবনের বাইরে ও ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে ইরানের গিলান প্রদেশের আবাসিক ভবনে ইসরাইলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন। নিহত বা আহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন নারী ও শিশু। 

এ ছাড়া দখলদারদের হামলায় ওই এলাকার অন্তত চারটি আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে, ইরান ও ইসরায়েলর মধ্যে সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। 

তবে, ট্রাম্পের এমন দাবি নাকচ করে দেয় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। এরপর বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২ টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইরানি-ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে  হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।


Side banner
Link copied!