
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে রাজধানীর বনানী থানার ৪ নং রোডে প্রকাশ্যে স্পা ও ইয়াবা ব্যবসায় বেপরোয়া পায়েল। তথ্য পাওয়া গেছে, বনানী ৪ নং রোডের ৩ নং হাউজের দ্বিতীয় তলায় পায়েলের আস্তানায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের আসা যাওয়া থাকায় পায়েল নিজেকে সেসব পুলিশের নিকট আত্মীয়-স্বজন দাবি করেন। জানা গেছে,স্পা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী পায়েল নিজেকে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভাই পরিচয় দিয়ে দাপটের সঙ্গে অপরাধ অপকর্ম অশ্লীলতা করে চলছে বনানী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্পা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী পায়েলের ভাব দেখে মনে হয় তার কাছে যেন থানা পুলিশ অসহায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বনানী থানার ৪ নং রোডে সন্ধ্যার পর দেহ ব্যবসায়ী তরুণীদের মেলা বসে মসজিদের পাশে স্পা ব্যবসার অন্তরালে চলছে জমজমাট দেহ ও মাদক ব্যবসা। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবেই বা তারা দিনের পর দিন এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
একই ভাবে গুলশানে স্পা ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোহাগ - পাপ্পু। গুলশান-১ রোড নং ১৩০, বাড়ি নং ২৮ এর লিফটের-৩। পুরো ফ্লোরে ছোট ছোট কক্ষে মাদক সেবন সহ চলছে দেহ ব্যবসা। প্রশাসন কী এতো বোকা যে কিছু জানে না?
সোহাগ কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আবার তিনারা স্বামী স্ত্রী দুইজ এই অপকর্মের আস্তানার মালিক। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও মহিলাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও পরে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে পাপ্পু- সোহাগের বিরুদ্ধে। পাপ্পু-সোহাগ স্বামী স্ত্রীর মূল টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে সেন্টারে ডেকে এনে বিভিন্ন উপায়ে করছেন ব্ল্যাকমেলইল।
এ ব্যপারে কথা বলতে সরেজমিনে ওই স্পা সেন্টারে গেলে প্রতিবেদককে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি পাপ্পু সোহাগের পালিত সন্ত্রাসীরা। এবং এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পায়েল, সোহাগ, পাপ্পুরা গুলশান, বনানী এলাকায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, তারা গুলশান বনানী এই দুই এলাকার অপরাধ জগতের মাফিয়া হয়ে উঠেছে ।
এসব অপরাধীর ব্যপারে এক্ষুনি আইনি ব্যবস্থা নেয়া না হলে ভবিষ্যতে এই এলাকা সহ পুরো ঢাকা শহরে এদের অসামাজিক কার্যকলাপ ছড়িয়ে পড়বে।
অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দূর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বনানী গুলশানের বাসিন্দারা।
আপনার মতামত লিখুন :