
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ রবিবারও (২৫ মে) সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল শনিবার দিনভর সমাবেশ, মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল ছিল সচিবালয়।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ রবিববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। ১০টার দিকে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীতে পূর্ণ হয়ে যায় সচিবালয়ের এই চত্বর।
১০টার কিছু পরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল শুরু হয়। ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে নতুন ভবন, ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে আসে মিছিলটি। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করতে থাকেন।
সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা বলছেন, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কাজে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।এতে সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এটি বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গত বৃহস্পতিবার সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তেজগাঁও কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া আরো পর্যালোচনার জন্য চার সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেল নতুনভাবে যুক্ত কিছু শৃঙ্খলাবিষয়ক বিধান শিথিল করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। উপদেষ্টারা হলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।সংগঠনটির একাংশের সভাপতি বাদিউল কবীরের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি নুরুল ইসলাম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ২০তম গ্রেডের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের নুরুজ্জামাল, আইন মন্ত্রণালয়ের আবুল হাসনাত, বিপুল, মানজার হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মো রহুল আমিন, মিজ মাকসুদা আক্তার বেলী, তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :