• ঢাকা
  • শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

অসৎ উদ্দেশ্যে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি,কথা না শুনলেই ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
অসৎ উদ্দেশ্যে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি,কথা না শুনলেই ধর্ষণ  মামলা দিয়ে হয়রানি

অসৎ উদ্দেশ্যে মোবাইল ফেসবুকে প্রথম বন্ধুত্ব তৈরি, পরিশেষে মায়ায় জড়িয়ে  প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন কৌশলে সৃষ্টি করে প্রেমের আলামত।প্রেমের আলামত হাতে পেলেই বিভিন্ন কৌশলে পরিবার থেকে শুরু করে ব্ল্যাকমেইল।ব্ল্যাকমেইলের  মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার দাবি পূরণ না করলে ধ/র্ষ/ণ মামলা দিয়ে হয়রানি করে এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতারক নারী চক্রের অন্যতম সদস্য লিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে।গভীর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শরীয়তপুর এবং ঢাকাস্থ্য কতিপয়  কয়েকজন সাংবাদিক লিয়া আক্তার নামে এই নারীকে দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করে অর্থশালী ও বিত্তবান পরিবারের যুবকদেরকে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে ব্ল্যাকমেল করে বিভিন্ন হয়রানি মূলক ধ/র্ষ/ণ মামলা দিয়ে মীমাংসার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
মোবাইল ফেসবুক,মেসেঞ্জার,ইমু”র মাধ্যমে প্রেম করে অর্থনৈতিক আয়ের একমাত্র উপায় বেছে নিয়েছে এই চক্রটি । ,মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লিয়া আক্তার নামে ওই নারীর প্রেমের জালে জড়িয়ে ধ/র্ষ/ণ মামলা খেয়ে ফেঁসে গেলেন  শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার উত্তর হাটুরিয়া গ্রামের মকবুল ঢালীর পুত্র সরকারি শামসুর রহমান কলেজের মেধাবী ছাত্র ও ৫ই  আগস্ট সরকার পতনের রাজপথের অন্যতম লড়াকু সৈনিক মোঃ বাইজিদ ঢালী।ভুক্তভোগী বাইজিদ ঢালী গণমাধ্যমকে জানান,আরিফশা নামে ফেসবুকে আমার বন্ধুত্ব হয়।ধীরে ধীরে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে আরিফশার সাথে  টুকিটাকি হাই হ্যালো কথা হতো। এই হাই হ্যালো কথার মধ্যে দিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে গভীর ভাব বন্ধুত্ব তৈরি হয়।আমি ওর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, আমি একজন কলেজ ছাত্রী,আমার মা সরকারি চাকরি করে, বাবা নেই,আমি অবিবাহিত।সত্যি কথা বলতে কি ওর কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করে মোবাইল মেসেঞ্জারে মাধ্যমে আমাদের দুজনের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।আমরা দুই থেকে তিন মাস মোবাইলেই কথা বলি,এই ২-৩ মাসের ভিতরে কারো সাথে দেখা হয় নাই।হঠাৎ করে একদিন সরকারি  শামসুর রহমান কলেজে হাজির। আমার সাথে দেখা করার জন্য ।আমি ঐদিন কলেজে ছিলাম না।কলেজে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয় এবং লিয়া আক্তার নামে পরিচয় দেয়।আমিতো লিয়া কে চিনি না।পরের দিন লিয়া আক্তার নামে ওই নারীর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাতে জানতে পারলাম লিয়া আক্তার ওরফে আরিফশা।আমার বন্ধু আমাকে বলে, ওই মেয়েকে কি তুই চিনিস ওর সম্পর্কে তুই কতটুকু জানিস,ওতো বিবাহিত,ওর স্বামী আছে এবং একটা বাচ্চা আছে যার নাম আরিফশা।লিয়া আক্তার ওর আসল নাম।ওর বাড়ি নাগেরপাড়া,রানী সার ।ওর সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানার চেষ্টা করলাম এবং জানতে পারলাম যে,ওর চ/রি/ত্রে সমস্যা আছে ,একাধিক ছেলেদের সাথে সম্পর্ক চলমান, মাঝেমধ্যে কক্সবাজার হোটেলে যাতায়াত আছে ,রাত্রে ঘরের ভিতর অশালীন অবস্থায় বিভিন্ন ছেলেদের সাথে ইমুতে চ্যাটিং করে।স্বামী থাকা অবস্থায় এসব অশালীন কাজ চলমান।স্বামী শুভর সাথে তালাক বা ডিভোর্স  হয় নাই।ছেলেদেরকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।ওর সম্পর্কে এসব কথা জানার পর ওর থেকে কেটে পড়ার চিন্তা করলাম। আমি তো জানতাম না অসৎ উদ্দেশ্যে  শরীয়তপুর এবং ঢাকাস্থ  সাংবাদিক চক্রটি লিয়া আক্তার নামে ওই নারীকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে, মান সম্মান ইজ্জত ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যার বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া।লিয়া আক্তার গোসাইরহাট বাজার এর কাছে দাসের জঙ্গল বাসা ভাড়া নিয়া থাকে।একদিন বিকেল বেলা আমাকে মোবাইল ফোনে  অনেক কান্নাকাটি করে বাসায় যেতে বলে।আমি ওকে বিশ্বাস করে তখন ওই বাসায় যাই।ওই বাসায় যাওয়ার পর লিয়া আক্তার অসৎ উদ্দেশ্যে সাংবাদিক চক্রের কথামতো আমাকে আটকিয়ে রেখে ডাক চিৎকার দেয় এবং লোকজনের মাধ্যমে আমার পরিবারকে খবর দিলে  আমার পরিবারের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টিকে সমাধানের চেষ্টা করে।লিয়া  আক্তার এর গার্জিয়ান না থাকায় লিয়া আক্তারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক মাহবুব, এডভোকেট  গার্জিয়ান হন। বিষয়টি সমাধানের জন্য লিয়ার পক্ষ থেকে সাংবাদিক-উকিল, বাইজিদ ঢালীর পরিবার থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন।ওই ১০ লক্ষ টাকা দাবি পূরণ না করায় ওই সাংবাদিক লিয়া আক্তারকে দিয়ে শরীয়তপুর জজ আদালতে  গত ২১ মে ২০২৫ বায়েজিদ ঢালীর বিরুদ্ধে ধ/র্ষ/ণ মামলা সহ প/র্নো/গ্রাফি মামলা করেন।ধ/র্ষ/ণের আলামত প্রমাণ করার জন্য গোসাইরহাট থানার পুলিশ লিয়া আক্তার নামে ওই নারীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারদের মাধ্যমে ধ/র্ষ/ণের আলামত সংগ্রহ করে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তারি প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন।ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে একাধিক ছেলের সাথে শারীরিক  সম্পর্ক। অনুসন্ধান করে জানা গেছে,শরীয়তপুর, ঢাকাস্থ্য সাংবাদিক,উকিল এই চক্রটি লিয়া আক্তার,ফারিয়া নামে নারীদেরকে ব্যবহার করে সমাজের অর্থ বিত্তবান পরিবারের যুবক ছেলেদেরকে প্রেমের জালে জড়িয়ে বিভিন্ন আলামত সৃষ্টি করে মোটা অংকের অর্থের জন্য লিগাল এইড,থানা, আদালতে মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।মামলার বাদী লিয়া আক্তার গণমাধ্যমকে জানান , বাইজিদ ঢালী বিয়ের কথা বলে আমার সাথে সম্পর্ক করো।বিয়ে করতে রাজি হয় নাই বিধায় আমি মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।আমি ৫ লাখ টাকা চেয়েছি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিলে আমি মীমাংসা করব।
 


Side banner
Link copied!