• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

জাজিরায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে নিয়ে অপপ্রচার


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
জাজিরায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে নিয়ে অপপ্রচার

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে নিয়ে একটি মহল মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 
তার বিরুদ্ধে একটি মহল উঠে পওে লেগেছে। তারা ইতোমধ্যে  একটি পত্রিকায় “ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে দাবি করা হয়, এক শিক্ষককে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নামে ভূমি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। অভিযোগকারী হলেন লিয়াকত হোসেন সেন্টু বেপারী। তিনি জাজিরা উপজেলার সরকারী  মোহর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের  সমাজ বিজ্ঞান  বিভাগের সহকারী শিক্ষক।
তবে অভিযোগের পেছনে যে ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং পূর্বপরিকল্পিত জালিয়াতি রয়েছে, তা একাধিক সূত্র ও তদন্তে উঠে এসেছে।
আব্দুর রাজ্জাব বেপারী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক লিয়াকত হোসেন সেন্টু বেপারী কিছুদিন আগে একটি নামজারির আবেদন নিয়ে  জাজিরা ভূমি অফিসে আসেন। সেখানে জমি মালিকানা প্রমাণে তিনি যে আদালতের রায়ের কপি দাখিল করেন, তাতে মূলত ৩ শতাংশ জমির রায় ছিল, কিন্তু তিনি নিজের হাতে তা কেটে ৩৭ শতাংশ লিখে জমা দেন। এ ছাড়া ও তার নামজারি আবেদনে একাধিক জায়গায় কাটা ছেড়া থাকার কারনে   সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসানের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নামজারি প্রক্রিয়া স্থগিত কওে দেন।
নামজারি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক লিয়াকত হোসেন সেন্টু বেপারী সহকারী ভুমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) এর  বিরুদ্ধে মিথ্যা লিখিত  অভিযোগ করেন।

লিয়াকত হোসেন সেন্টু বেপারী তার  নিজ বংশের ১০-১২জন আত্মীয়কে  এলাকায় ছাড়া করে নিজেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। স্থানীয় এক মালিকের কাছ থেকে জমি কিনে অন্য পক্ষকে উচ্ছেদ করার জন্য তিনি চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ তার কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তিনি মামলা -হামলা  করে হয়রানি কওে থাকেন। ইতোমধে সে এলাকায় মামলা বাজ হিসাবে পরিচিত। এলাকায় বহুদিন ধরেই বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।  
বাবু বেপারী বলেন, লিয়াকত হোসেন সেন্টু বেপারী ভূমি অফিস নিয়ম মেনে কাজ করছে বলেই উনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তিনি কাগজপত্র বিকৃতি করে সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এখন প্রশাসনের লোকদেরই দোষারোপ করছেন।
লিয়কত হোসেন সেন্টু বেপারী বলেন, আমি ভুল বশতঃ কাটা ছেড়া কাগজ নামজারির জন্য জমা দিয়েছি। আমাকে কোন রকম শুনানির জন্য না ডেকে জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আমার নাম জারির আবেদন খারিজ করে দেন।
জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, আমি সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। আদালতের রায়ের কপি বিকৃত করে জমির পরিমাণ বাড়িয়ে নামজারি করানোর চেষ্টা তিনি করেছেন, যা আমি সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।”
বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে। যদি দেখা যায় কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকারি কর্মকর্তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন , বিষয়টি তদন্তাধীন ।যদি  দেখা যায় কেউ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাভে সরকারী কর্মকর্তার ভাবমুতি ক্ষুন্ন করতে চাইছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয় হবে। একই সঙ্গে  প্রকৃত অনিয়ম থাকলে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয় হবে।
 


Side banner
Link copied!