
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার সোহানুর রহমান আজাদ। ধানমন্ডি থানার হত্যা মামলায় চর এককরিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষক লীগের নেতা হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার রিমান্ড শুনানিতে আজ বুধবার আওয়ামী লীগের হেভিওয়েটদের সঙ্গে তাকে ঢাকার আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। শুনানিতে তার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, আসামি জামায়াতের ইউনিট সেক্রেটারি।তিনি এ মামলার সঙ্গে জড়িত না।
এদিন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সোহানুর রহমানকে আদালতে তোলা হয়। পরে ধানমন্ডি থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, নুরু মিয়া ও সোহানুর রহমান আজাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা এজাহারনামীয় আসামি।তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আসামি সোহান কৃষক লীগের নেতা। এ মামলায় তাদের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ মার্চ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আসামি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট সেক্রেটারি। ষড়যন্ত্র করে তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুবের আদালত আসামি আজাদের বিষয়ে আদেশ অপেক্ষায় রাখেন। তবে অপর আসামি আনিসুল, সালমান ও নুরুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এ সময় তাদের পক্ষে আইনজীবী থাকলেও শুনানিতে তারা অংশ নেননি।
রিয়াজ হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ আগস্ট বিকেলে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :