
পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যের ওপর প্রকাশ্যে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে ডুজার সভাপতি মহিউদ্দীন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ মাহদী হাসান ন্যাক্কারজনক হামলার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গণমাধ্যম ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, কলেজের হল খোলার বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় ছাত্রদলে নেতাকর্মীরা এসে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলে এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করে।সে ঘটনার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় নারী সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে।
এই হামলায় তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক আমান উল্যাহ আলভী, নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য শফিক, সদস্য আল আমিন, রাব্বির আহত হন। ন্যাক্কারজনক এই হামলায় জড়িত সবাই ছাত্রদলের পদধারী নেতাকর্মী।
তারা আরো বলেন, ‘ডুজা নেতৃবৃন্দ মনে করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ন্যায্য দাবিতে যেকোনো ব্যক্তি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে করার অধিকার রাখেন। বিশেষ করে বিগত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশ ও সভা-সমাবেশের যে অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা বিঘ্নিত করে এ ধরনের হামলা ভয়ঙ্কর উদ্বেগজনক। অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলায় জড়িত থাকা হতাশাজনক।
এ ধরনের ঘটনা ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অন্তরায়।এ ছাড়া সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের ওপর রাজনৈতক সংগঠনের এমন ন্যাক্কারজনক হামলা ক্যাম্পাসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথকে রুদ্ধ করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ সুগম ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :