
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া গ্রামে সুদের উপর ২লাখ টাকা নিয়ে সুদের ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেও সুদখোর রহমত আলীর কাছ থেকে রেহাই পাননি এক দর্জি ব্যবসায়ী শাহেনা বেগম ও তার পরিবার। জোরপূর্বক দোকান ও বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে রহমত আলী তার দখলে নিয়ে তাড়িয়ে দেয় শাহেনাকে। কলেজে পড়ুয়া মেয়েসহ তিন সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন শাহেনা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া গ্রামে। এ বিষয়ে শাহেনা বেগম হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লখ করেন তার স্বামী মোঃ ফরিদ মিয়া ৪/৫ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত গহর আলীর পুত্র রহমত আলীর নিকট থেকে সুদের উপর ২ লক্ষ টাকা আনেন। জামানত হিসেবে ফরিদ মিয়া ৪টি চেক ও বাড়ির দলিল জমা রাখেন সুদখোর রহমত আলীর কাছে। ৪/৫ বছরে ২ লক্ষ টাকার সুদ ৪/৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু রহমত আলীর ২ লক্ষ টাকার দাবী শেষ হয় নাই। গোপায়া নূরানী জামে মসজিদ বাজারে মকছুদ আলীর দোকান ভাড়া নিয়ে মা টেইলাস কাপড়ের দোকান দিয়া সুনামের সহিত ব্যবসা করতেন। প্রায় সময় সুদের টাকার জন্য সুদখোর রহমত আলী আমার স্বামীকে গালমন্দ করেন। গত ২৮ জুন আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর গত ৪ জুলাই সুদখোর রহমত আলী শাহেনার দোকান ও বসত ঘরে তালা দেয়। নিরুপায় হয়ে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া অপর ২ সন্তান নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল্লা মিয়ার বাসা ভাড়া নেন। তালা দেয়ার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মুরুব্বীগণের মাধ্যমে ৩০ জুলাই দোকান ও বসত ঘরের তালা খুলে দেয় হয়। সুদের টাকার জন্য পূণরায় দোকান ও বসত ঘরে তালা দেয়ার হুমকি ধামকি দিতেছে সে। রীতিমত দোকান খুলতে এবং মান সম্মান বাচাতে পারছেন না শাহেনা বেগম। জমাকৃত চেক দিয়ে মামলা করবে বলে এলাকায় প্রচার করছে রহমত আলী। শাহেনা বেগম ৩ সন্তান নিয়ে আতংকে বসবাস করছেন এবং তার মান সম্মান বাচাতে আত্ম হত্যা ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই বলে আবেদনে উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :