• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে ট্রাভেল এজেন্সীর পরিচালকের মৃত্যু


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে ট্রাভেল এজেন্সীর পরিচালকের মৃত্যু

কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো আবুল কালাম আজাদের (৩৬)। তবে সেই বাড়িতে আর ফেরা হলো না তার। রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড খুলে মাথায় পড়ায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আজাদ।

 

 

আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

 

 

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। তারা মা-বাবা মারা গেছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনিই ছোট। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায়। ঢাকায় তিনি একটি এজেন্সিতে চাকরি করতেন। তার আয়ের একটি অংশ গ্রামের বাড়িতে পাঠাতেন। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের স্বজনরা।

 

 

আবুল কালাম আজাদের ভাবি আসমা আক্তার বলেন, আজাদ সকালে আমাকে ফোন দিয়েছিল। সে তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। আমি তাকে বাড়ি আসতে বলি। তখন আমাকে জানায়- কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়ি আসবে। এর কয়েক ঘণ্টা পর জানতে পারি মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে আজাদ। আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। আমার দেবর চলে গেছে, ও আর ফিরে আসবে না। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায্য বিচার চাই। তার সন্তানরা যাতে ভালো করে বাঁচতে পারে সরকার সেই ব্যবস্থা করুক

 

নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া বলেন, আজাদ ভালো ছেলে ছিল। ছোট থেকে পরিশ্রম করে সংসারের হাল ধরেছে। ওর এমন মৃত্যু মেনে নেয়ার কঠিন। ওর সংসার কীভাবে চলবে তা আমরা বলতে পারছি না। আমরা চাই সরকার পরিবারটির পাশে দাঁড়াক।

আবুল কালামের বড় ভাই খোকন চোকদার গ্রামের বাড়িতে থাকেন। পারিবারিক জমিজমা দেখাশোনা করেন। পারিবারিক সেসব জমিজমা ও ফসলাদির খোঁজ নেওয়ার জন্য গত মাসে আবুল কালাম গ্রামের বাড়িতে আসেন। বড় ভাইয়ের সঙ্গে কাজ সেরে আবার ঢাকায় ফিরে যান। 

খোকন চোকদার বলেন, ‘ওটাই যে আমার ভাইয়ের শেষযাত্রা হবে, আমি বুঝতে পারিনি। এখন সে ফিরবে প্রাণহীন দেহ নিয়ে। আমরা স্বজনেরা অপেক্ষায় আছি তার প্রাণহীন দেহটার জন্য। আমাদের পরিবারের সঙ্গে কেন এমন হলো। আমার ভাইটি তো কারও কোনো ক্ষতি করেনি। তাহলে কেন অকালে তাকে প্রাণ হারাতে হলো। তার স্ত্রী–সন্তানকেইবা এখন কে দেখবে?’

 

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।


Side banner
Link copied!