• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ বছর পর কবর থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উত্তোলন


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২১, ০৩:২০ পিএম
পাঁচ বছর পর কবর থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উত্তোলন
পাঁচ বছর পর কবর থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উত্তোলন

দাফনের পাঁচ বছর পর বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় শফিউল আলম বিপুল (৩০) নামে এক সাংবাদিকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বগুড়ার আদালতে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলা করেন বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রাম থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, নন্দীগ্রাম থানার এসআই শাহ্ সুলতান হুমায়নসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক বিপুল উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে।

জানা গেছে, মৃত্যুর পাঁচ বছর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম। আদালতের আদেশে চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়। নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং ১৮। বিপুলের সহকর্মী আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই শাহ সুলতান হুমায়ুনকে।নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার কর্মরত ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৮ জুন বিকেলে বিপুলের মোটরসাইকেলে ওঠেন প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম জুয়েল। নন্দীগ্রাম আসার পথে বরিন্দা পাগরাপাড়া এলাকায় বিপুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সময় নন্দীগ্রাম থানায় কর্মরত ওসি (বর্তমানে বগুড়া সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার) মো. হাসান শামীম ইকবাল বলেন, সাংবাদিক বিপুলের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পুনাইল সীমানার কিছুটা দূরে একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তার বিরুদ্ধে ইউডি মামলা হয়েছিল। সে সময় পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়া এবং তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

তবে সাংবাদিক বিপুলের ছোট ভাই কামরুল হাসান বলেন, কিছু সমস্যার কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমার বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রধান আসামি জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক বিপুলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


Side banner
Link copied!