• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ০২:১৩ পিএম
প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরো কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, সারাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মের ঘটনা শোনা যায়নি। করোনা মহামারির পরবর্তী দুই বছর পর এবার পূর্ণ সিলেবাসে শতভাগ নম্বরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে। করোনায় ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশে আমরা ফিরতে সক্ষম হচ্ছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হওয়ার জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনিটরিং করবে। সুতরাং কোনোভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভুল প্রশ্ন বিতরণের ঘটনা বিভিন্ন কেন্দ্রে হয়ে থাকে। যাদের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি। তবে ভুল তো ভুলই, কেউ ভুল করে করলে সেটি সেই মুহূর্তে ঠেকানো সম্ভব হয় না। যেসব কেন্দ্রে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ।  
এর আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে থাকেন এই কেন্দ্রের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।
জানা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।


Side banner
Link copied!