• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম
গাজীপুরে ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি
ছবি - সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) আবদুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে ডিআইজির শ্রীপুররের মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়।
এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে ঘরে থাকা পুলিশের ইউনিফর্ম, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুুট করে নিয়ে যায়।
এডিশনাল ডিআইজি বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে তাদের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। ওই বাড়িতে আমার বাবা ও মা বসবাস করেন। তারা দুজনেই হৃদরোগী। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সংসার খরচের টাকা, আমার ইনিফর্ম ও মায়ের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুুল জলিলের বাবা আবদুুল বাতেন বলেন, শনিবার রাতে খাবার খেয়ে আমরা বসত ঘরে ঘুমিয়ে যাই। রাত ১টার দিকে কালো মুখোশধারী ৭-৮ জনের ডাকাত দল মই ব্যবহার করে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর টপকে গেটের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে কয়েকজন ডাকাত সদস্য আমাদের গলায় রামদা ঠেকিয়ে ঘিরে ধরে। বাকিরা ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও আমার ছেলের দুই সেট ইউনিফর্ম নিয়ে যায়। সবার পরনে কালো রঙের গেঞ্জি, হাফ প্যান্ট ও মুখে কালো মুখোশ ছিল। তারা ঘর থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্ল্যা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ির পেছনে মই দিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতর ঢুকে। এরপর আধ পাকা টিনসেড বারান্দায় থাকা থাই গ্লাস খুলে তালা কেটে আব্দুল বাতেনের শোবার ঘরে ৪-৫ জন ছুরি, শাবল ও রড নিয়ে প্রবেশ করে। পরে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে মালামাল লুটে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনা পরপরই ওই ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই আড়াই কিলোমিটার দূরে ইন্দ্রপুর গ্রামের ফয়সালের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানেও তারা টাকা ও মালামাল লুটে নিয়ে চলে যায়।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে।


Side banner
Link copied!