
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে নকল করার দায়ে ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ মে) মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাদের বহিষ্কার করেন এসিল্যান্ড তাসনিম আক্তার।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন। তাদের মধ্যে চারজন মতলব জেবি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও একজন বোয়ালীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ।
তাসনিম আক্তার বলেন, দুপুর ১২টার দিকে হল পরিদর্শনে যান তিনি। ১ নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে সন্দেহ হয়। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন সময়ে বহিষ্কৃতদের একজন তার সাথে থাকা মোবাইল ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। তা কেন্দ্রের ট্যাগ আছিয়া খাতুন উদ্ধার করেন। তবে বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে কোন মোবাইল পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচ পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নকল করে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। পরীক্ষার হল রুমে তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্ট ফোন থাকতো। তারা একটা গ্রুপ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সকলে যুক্ত ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বাইরে থেকে তাদের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করা হতো।
তাসনিম আক্তার জানান, হলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পর পরই মোবাইলে ওই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাইরে পাঠিয়ে দিত। পরে তাদের ম্যাসেঞ্জারে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো। এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে। উদ্ধার করা মোবাইলে প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নের ছবি পাওয়া গেছে। বাইরে থেকে যারা নকল সরবরাহ করতো, তাদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :