• ঢাকা
  • রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩, ১০:৪০ এএম
মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা
ছবি: সংগৃহীত

কুল্লি নাফসি জাইকাতুল মাউত অর্থাৎ প্রত্যেক জীবের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিতে হইবে। তন্মধ্যে স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ হচ্ছে জগতের শ্রেষ্ঠ জীব। মনুষ্য সৃষ্টি এবং প্রকৃতির আবহাওয়ার কারণে পৃথিবীর মানুষ বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত হয়। সুস্থতার জন্য রোগা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে একমাত্র নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে একজন ডাক্তার। ডাক্তার রোগ নির্ণয় করে ঔষধ লিখেন ওই রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ওষুধ খেয়ে ভালো হবেন এমনটাই আশা করেন ওই রোগী। রোগ নিরাময় সেই ওষুধই যদি হয় মৃত্যুর কারণ। তখন রোগীর কি অবস্থা হবে প্রশ্ন উর্দূতন কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে। ঢাকার মিটফোর্ড সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একটি অসাধুচক্র হরদমে ভেজাল ওষুধ তৈরি করছে। অসাধুচক্রের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই ভেজাল ওষুধ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি এবং কিছু অসাধু ওষুধ ফার্মেসি মালিকের কারণে রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। এই ভেজাল ওষুধের কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে। বিভিন্ন পত্রপত্র পত্রিকা ও টেলিভিশনে মাধ্যমে মাঝেমধ্যে দেখা যায় ভেজাল ওষুধ তৈরি কারখানার মালিকগণকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হয়। ভেজাল ওষুধ তৈরি অসাধু দুর্নীতিবাজ লোকদেরকে জেল জরিমানা করে কোন লাভ হচ্ছে না। সচেতন মহলের একটাই দাবি এইসব অসাধু দুর্নীতিবাজ লোকদেরকে বড় শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শরীয়তপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ আগস্ট ২০২৩ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন শরীফ মেয়াদোচূর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধের জন্য শরীয়তপুর সদরের আঙ্গারিয়া বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনাকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রির দায়ে কয়েকটি ফার্মেসিকে আর্থিক জরিমানা করেন এবং সতর্ক করেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহমুদ শরীফ গণমাধ্যমকে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে শরীয়তপুর সদরের আংগারিয়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ফার্মেসিগুলোতে এমন কিছু ঔষধ পাওয়া যায় যা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় না রাখলে ব্যবহারকারীর চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হতে পারে এবং গর্ভপাতসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এসব ব্যবহার অনুপযোগী ঔষধসমুহ সকলের সামনে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ফার্মেসি গুলোতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় সকল ঔষধ ব্যবসায়ীকে অনিরাপদ ও রেজিস্ট্রার বহির্ভূত ঔষধ বিক্রয় না করার জন্য সতর্ক করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধ বিক্রি এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ না রাখার কারণে কয়েকটি ফার্মেসিকে আর্থিক জরিমানা করেছি।

অভিযান পরিচালনায় আমাকে সহযোগিতা করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, শরীয়তপুর জেলা পুলিশ।


Side banner
Link copied!