
শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ১নং কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ও রবিন কর্মকার গংরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দলীল সম্পাদনের মাধ্যমে জোরপূর্ব দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাট ও জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করলেন কামরুন নাহার ও তাহার প্রতিবন্ধী ছেলে সামিম হোসেন টিটু কোতয়াল। বিধবা কামরুন্নাহার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে,গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৬০নং পালং মৌজার বিআরএস খতিয়ান ৪৬৭ দাগ নং ৩১০২ এবং জমির পরিমাণ ২৯.৯৯ শতাংশ ভূমি আমার পৈত্রিক ও ক্রয় কৃত সম্পত্তি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর জীবন সংগ্রামে আমার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে আসছি। পৈতৃক ও ক্রয় কৃত ভূমিতে আমি এবং আমার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে শামীম হোসেন টিটু কোতোয়ালকে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কিছু অংশে দোকান ভাড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোখ দখল করে আসছি। আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কতিপয় কিছু ভূমিদস্যুরা সন্ত্রাসী কায়দায় ইতিপূর্বে আমার তিনটি দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমাদের এই সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। কতিপয় কিছু ভূমিদস্যু ও বিবাদী সদর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রবিন কর্মকার গংরা আমাকে উক্ত ভূমি থেকে বেদখল করার জন্য মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে আমাকে দখল ছাড়িয়া দিতে বলে। যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন (বর্তমান কাউন্সিলর) এবং রবিন গংরা তাদের অন্যান্য ওয়ারিশগণদের মৃত দেখিয়ে বিপুল অর্থের বিনিময়ে রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক একাধিক ভুয়া ওয়ারিশ সনদ সার্টিফিকেট তৈরি করে । রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশ সনদ প্রত্যয়নকারী চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ঢালির জন্মের অনেক পূর্বেই ওয়ারিশানের মৃত ব্যক্তিগণ মৃত্যুবরণ করিয়াছে। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঢালী ওয়ারিশ সনদে বলেছেন ওইসব হিন্দু মৃত ব্যক্তিদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এবং জানেন। চেয়ারম্যানের এইসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। ২৪ আগস্ট ২০২৩ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী টিটু কোতয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, এই সমস্ত ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দ্বারা কিছু অসাধু ভূমিদস্যু যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ও রবিন গংদের যোগসাজোসে ৬০ নং পালং মৌজার আর এস/ এস এ ১৬১৩ ১৬১৪ ১৬১২ ১৬১৫ ১৬১৬ বি আর এস খতিয়ান যাহা বিআরএস দাগ নং ৩১০১ ভূমির পরিমাণ ৯৫.৬২ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ভবনসহ সরকারি সম্পত্তির বর্তমান মূল্য ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া আমার রেকরডিও ভূমি ৬০ নং পালং মৌজার ৪৬৭ নং খতিয়ানের বিআরএস ৩১০২ নং দাগে যার জমির পরিমাণ ২৯.৯৯ শতাংশ জমি। আমার রেকরডিও সম্পত্তিতে অতিরিক্ত একটি আরএস ১৬১২ নং দাগ বসাইয়া ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করিয়া সম্পত্তি আত্মসাৎ ও ভোগ দখল করার চেষ্টা করিতেছে। আমার বিধবা মা এবং আমি প্রতিবন্ধী টিটু কোতোয়াল আপনাদের সাংবাদিকের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে দাবি জানাচ্ছি আমার পরিবার এবং এই দেশে কিছু অসহায় পরিবার আছে যাদের ভয়ে মুখ খোলে না এইসব ভূমিদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আপনার মতামত লিখুন :