
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনের ঘোষণা দেন।
রবিবার (১১ মে) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা মশাল হাতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।এর আগে দুপুরে শিক্ষক সমাজের উদ্দেশে পাঠানো এক খোলা চিঠির মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার (১২ মে) থেকে একাডেমিক শাটডাউন কার্যকর হবে। এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে, তবে চলমান ফাইনাল পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।উল্লেখ্য, এর আগেই গত মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সে অনুযায়ী বর্তমানে প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রয়েছে এবং আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে কমপ্লিট শাটডাউন।ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আমাদের কর্মসূচি চলমান। আজকের মশাল মিছিল সেই আন্দোলনেরই অংশ। আমরা পূর্বে প্রশাসনিক শাটডাউন দিয়েছি এবং আগামীকাল থেকে কমপ্লিট শাটডাউন দিচ্ছি। শুধুমাত্র লাইব্রেরি, জরুরি কার্যক্রম ও চলমান ফাইনাল পরীক্ষা ছাড়া সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি আরো কঠোর হবে।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে যা করণীয়, আমরা তাই করব। আমাদের নামে বারবার মামলা, জিডি ও ভীতিমূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে—যা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই। এখন আমাদের একমাত্র দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ।মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী এমডি শিহাব বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে। আমরা ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের কাছে খোলা চিঠি পৌঁছে দিয়েছি যাতে তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ক্লাস বর্জন করেন। এই আন্দোলন থামবে না যতক্ষণ না উপাচার্য অপসারণ হচ্ছেন।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শুজয় শুভ, মার্কেটিং বিভাগের এমডি শিহাব, বাংলা বিভাগের আশিকুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নিশাত মালিহা ঐশী, ইতিহাস বিভাগের মোশাররফ হোসেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মাসুম বিল্লাহ, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোকাব্বেল শেখ, আইন বিভাগের শহিদুল ইসলাম শাহেদ, এস এম ওয়াহিদুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের রাকিন খান ও অর্থনীতি বিভাগের ভূমিকা সরকার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :