• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

পরকিয়া প্রেমিকাকে নিয়ে অনৈতিক কাজে ধরা খেল এলজিইডির ফিরোজ - গণ পিটুনী


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
পরকিয়া প্রেমিকাকে নিয়ে অনৈতিক কাজে ধরা খেল এলজিইডির ফিরোজ - গণ পিটুনী

পরকিয়া প্রেমিকাকে অনৈতিক কাজ করার উদ্দেশে নিজ বাসায় আনলে এলাকাবাসি হাতে ধরা খেল  সিরাজগঞ্জ এলজিইডি'র সদ্য অবসর প্রাপ্ত উচ্চমান সহকারী শেখ ফিরোজ আলী। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শিরা ৩ সন্তানের জনক ফিরোজ আলীকে গণপিটুনী দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
বুধবার রাত ১১টায় ভাসানী রোডস্থ সয়াগোবিন্দ মহল্লায় নিজ বাস ভবনে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ইতিপুর্বে শেখ ফিরোজ আলী সিরাজগঞ্জ এলজিইডি'র উচ্চমান সহকারী হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর অধিকাংশ কাজে দালালী করে ঠিকাদারের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ রয়েছে। 
এলজিইডি'র পিয়ন শাহীনুর বলেন- ফিরোজ আলী আমাকে সানমুন এন্টার প্রাইজ এর ঠিকাদারী আবেদনের  ফাইলসহ  গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গোপনে তার বাসায় পৌছে দিতে বলে, তাতে আমি অস্বীকার করলে  সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামকে আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে  আমাকে বদলী করা হয়। তিনি আরো বলেন- সানমুন এন্টার প্রাইজের ঠিকাদারী আবেদনের অনুমতির ফাইলে এক্সেন স্যার এর স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয়। স্বাক্ষর জাল জালিয়াতী করে লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টি আমার হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনাশ সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরোজ আলী স্যারকে বলে দেয় আমি সব অনিয়ম জানতে পেরেছি বিধায় আমাকে অবৈধভাবে বদলী করা হয়। ফিরোজ আলী ইতিপুর্বে অফিসের জনৈক নারী কর্মির সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।

ফিরোজ আলীর সাথে  এক্সেন স্যারের ভাল সম্পর্ক থাকায়  তার কথামত  নির্বাহী প্রকৌশলী  বিদায় বেলায়   শাহীনুর কে রায়গঞ্জ উপজেলায় বদলী করেন এবং গোপনে চলে যান। বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম চেয়ারে প্রথম দিন বসেই একজনকে বদলি করে এবং চলে যাওয়ার মূহুর্তে আরেক জনকে বদলি করেন।

শেখ ফিরোজ আলী নির্বাহী প্রকৌশলীর আস্থাভাজন হওয়ায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সাথে অসাদাচরণসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।।
তিনি ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স নবায়ন, লাইসেন্স ফি, বিল প্রদানে নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজসে  ঠিকাদারদের নিকট থেকে  লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষোভ বিরাজ করছিল। অবৈধ  উপার্জনে টাকা পেয়ে পরকিয়ায় মেতে উঠে শেখ ফিরোজ আলী।সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে জানা যায়, ফিরোজ আলী পরকিয়ার প্রেমিকাকে ২২ লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মান করে দেন। ৫টি স্বামীকে পরিত্যাগ করা  প্রেমিকা ফিরোজ আলীর সাথে গভীর প্রেমে মেতে উঠে। 
ফিরোজ আলী তার প্রেমিকাকে নিয়ে বিভিন্ন জেলার হোটেল ও নিজ পরিরারের চোখ ফাকি দিয়ে অনৈতিক কাজে মগ্ন ছিলেন। বিষয়টি তার স্ত্রী ও তার সন্তানেরা জানতে পারলে তাকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে। পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হতে বিরত থাকতে বলায় তার স্ত্রীর সাথে প্রতিনিয়ত ঝড়গা ও স্ত্রীকে মারিপট করার অভিযোগ করেন ভার্সিটি পড়ুয়া তার  কন্যা। বাবার এসকল আচরণে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের মাঝে প্রায়ই বাগবিতন্ডা হত ও স্ত্রীকে মারপিট করা হত। তার কিছু খন্ড চিত্র তুলে ধরেন তার মেয়ে।
 


Side banner
Link copied!