হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে ৯ দালাল কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা করে অর্থ দন্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদলত।
র্যাব ৯ সিপিসি ৩ (শায়েস্তাগঞ্জ) এর কোম্পানী কমান্ডার শাহ আলম এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২৫) ইং সকালে ১১ টায় একদল র্যাব সদস্য হাসপাতালে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হল বানিয়াচং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের প্রশন্ন দাসের ছেলে অশিত দাশ (৪০), সতমুখা গ্রামের মজর আলীর ছেলে বিলু মিয়া (৪২)
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের আরজ আলীর ছেলে রমিজ আলী রনি (২৭), অনন্ত পুর এলকার মো: কামাল শাহ, (২৫), আনন্দপুর গ্রামের আকল আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রিপন, (৪৩),আব্দুল্লাহপুর গ্রামের নিখিল রায়ের ছেলে
সৌরভ রায় (২২),আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের নিকুঞ্জ ঘোষের ছেলেনিতু ঘোষ(৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার গোল গাও গ্রামের বেলাল মিয়ার ছেলে আ: খালেক মিয়া,(২৭) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিয়া গ্রামের হরুফ মিয়ার ছেলে কাউছার( ৩০)।
র্যাব ৯ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল এলাকায় দালাল চক্রের উপদ্রব বেড়েছে। এদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগী নিঃস্ব হচ্ছেন।
বিষয়টি তাদের নজরে এলে অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, সদর আধুনিক হাসপাতালের কিছু অসাধু ব্যক্তির ও আত্মীয়দের যোগসাজশে বেশ কিছু প্রাইভেট ক্লিনিক ও ফার্মেসী গড়ে উঠেছে।
দালালরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছে আর এ সুযোগে ক্লিনিকের মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা।
ঔষধের জন্য নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ফার্মেসীতে। ফার্মেসীর ঔষধ বেশি বেচাকেনার জন্য নিজস্ব দালাল নিয়োগ দিয়ে থাকে তারা।
র্যাব ৯ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার শাহ আলম বলেন অনিয়ম এর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার মোঃ মহসীন মিয়া প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা করে জরিমানা দিয়ে আসামীদের কারাগারে প্রেরন করার নির্দেশ দেন হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানান, র্যাব, তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে।পরে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :