আজ ২৮ অক্টোবর, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের জন্য তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত হন।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ খালিশপুর গ্রামের এই বীর সন্তান ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তরুণ বয়সেই তিনি মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। মৌলভীবাজারের ধলাই এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল, যা কৌশলগতভাবে মুক্তিবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর ভোরে মুক্তিবাহিনী ধলাই ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। শত্রুর দুটি মেশিনগান পোস্ট থেকে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু হয়। মেশিনগান পোস্ট ধ্বংসের দায়িত্ব পান সিপাহী হামিদুর রহমান। তিনি অদম্য সাহস নিয়ে অগ্রসর হয়ে একটির পোস্ট ধ্বংস করেন এবং মুক্তিবাহিনী ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়। তবে শত্রুর গুলিতে তিনি শহীদ হন।
সহযোদ্ধারা তার মরদেহ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমবাশা এলাকায় সমাহিত করেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তার অসীম বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।
২০০৭ সালে তার দেহাবশেষ ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।
তার স্মৃতিকে অম্লান রাখতে খর্দ খালিশপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান সরকারি কলেজ, যাদুঘর ও লাইব্রেরি।
দিনটি উপলক্ষে আজ কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :