
মোটা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে অভাবী ও ঋণগ্রস্ত মানুষদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করা দালাল চক্রের আরও দুজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঁইয়া। এর আগে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, কালাই উপজেলার টাকাহুত গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন সরকারের ছেলে আব্দুল গাফফার সরকার (৪৫) ও জয়পুর-বহুতি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নূর আফতাব (৪২)।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারকৃত দালালরা দীর্ঘদিন ধরে জয়পুরহাট জেলাসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁ, গাইবান্ধা, দিনাজপুর এলাকার নিরীহ, ঋণগ্রস্ত ও হত দরিদ্র নারী এবং পুরুষদের মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করে আসছিলেন। এসব নিরীহ মানুষরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দালালদের খপ্পরে পরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় চুক্তিতে তাদের মূল্যবান কিডনি বিক্রি করে দেন।
ভারত ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে তাদের কিডনি দিয়ে নামমাত্র চিকিৎসা নিয়ে যখন দেশে ফেরেন, তখন দালালরা বিমানবন্দরেই তাদের হাতে ১ থেকে ২ লাখ টাকা হাতে ধরে দিয়ে বিদায় করেন। কিডনি দাতারা নিজের অঙ্গ বিক্রি করে ঝুঁকি নিয়ে জীবন অতিবাহিত করলেও লাভবান হচ্ছেন এসব দালালরা।
এদিকে চলতি মাসের ১৪ মে জেলার কালাই ও পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে দালাল চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে কিডনি বিক্রি শতভাগ বন্ধ করা না গেলেও অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদী।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন, সদর সার্কেল মুশফিকুর রহমান, পাঁচবিবি সার্কেল ইশতিয়াক আলমসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
আলোকিত নিউজ লিঃ (Incorporation no: 152855/2019) | কপিরাইট © ২০২২ আলোকিত নিউজ লিমিটেড এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Design & Developed by Bongosoft Ltd.
আপনার মতামত লিখুন :